জোবেদ আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয় লালগ্রাম নিবাসী জনাব, আলহাজ্ব মো: আব্দুল হান্নানের বৃহৎ দানে এবং এলাকাবাসীরসর্বাত্বক সহযোগীতায় 1979 সালে জকিগঞ্জ উপজেলার বৃহৎ বাজার গুলোর অন্যতম বাবুরবাজারের পূর্ব পাশ্র্বে মাজবন্দ ও সহিদাবাদ মৌজার সুন্দরারচক গ্রামে প্রতিষ্টা করা হয়।ইহা 5নং জকিগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের অন্তর্গত । এ বিদ্যালয়ে বর্তমান শিক্ষাথী 1216 জন, এমপিওভুক্ত শিক্ষক 14জন, শিক্ষিকা 2 জন, সহ:গ্রন্থাগারক 1 জন, অফিস সহাকরী 1জন, চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী 2 এবং এমপিও বহির্ভুত শিক্ষক 2 জন, চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী 2জন। বিদ্যালয়ে 8 কক্ষ বিশিষ্ট দ্বিতল পাকা ভবন 1,1 কক্ষ বিশিষ্ট পাকা ভবন 1, 10 কক্ষ বিশিষ্ট প্রধান শিক্ষকের সেমি পাকা বাস ভবন 1টি। 10 কক্ষ বিশিষ্ট সেমি পাকা ভবনটি অতি পুরাতন জরাজীর্ণ ও ঝুকিপূর্ণ । বিদ্যালয় টি 2.04 এরকর অখন্ডে ভূমিতে অবস্থিত এবং ভবন গুলোর সম্মুখে ছোট আকারের খেলার মাঠ আছে। খেলর মাঠের আয়তন আনুমানিক 1 একর। খেলার মাঠ সংস্কার আবশ্যক । বর্তমান নাবায়নকৃত স্র্বিতির মেয়াদ শেষ হবে 31-12-2015।
1978 সালের শেষদিকে ঢাকাস্থ এজি অফিসে কর্মরত জুনিয়র অডিটর সুলতানপুর নিবাসী মরহুম আব্দুর রউফ (রুফই মিয়া) সাহেবের কনিষ্ট ছেলে জনাব, আলতাফ আহমদ তার ভাই মরহুম আব্দুর রহমান উরফে লনি মিয়াকে জানান যে, এলাকায় একটি হাইস্কুলে করনে তা সহজে সরকারী অনুমোদন পাবে জনাব মরহুম লনি মিয়া বিষয়টি এলাকার বিশিষ্ট মুরব্বি জানাব মরহুম আব্দুররউফ মাষ্টার ,মাষ্টার মরহুম আব্দুল আজিজ মোহরীর যিনি বিচারপতি জনাব আব্দুল মতিনের বড় ভাই অবসর প্রাপ্ত জেলা রেজিষ্টারার মরহুম আব্দুল গণি , জনাব আলহাজ্ব আব্দুল হান্নান প্রমুখ প্রমুখ ব্যক্তিবর্গকে অবহিত করেন।বিদ্যালয় প্রতিষ্টার লক্ষ্যে জনাব মরহুমআব্দুল গণি সাহেবের আহবানে লালগ্রাম সংলগন গঙ্গাজল খ সররকরী প্রাথমিক বিদ্যালয় এক সাধারণ সভা অনুষ্টিত হয়। এ সভায় সুন্দারাচক নিবাসী মরহু মমাও আব্দূল ফাত্তাহ সহ বিভিন্ন গ্রামের গণ্যমান্য ব্রক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। এ সভায় বিদ্যলয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ভুমি এককভাবে দান করার অঙ্গিকার করেন জনাব আলতাফ হোসেন আহমদ ও মরহুম আব্দুরহমান লনি মিয়া এর ভগ্নিপতি লালগ্রাম বিনাসী জনাব আলহাজ্ব মো: আব্দুল হান্নান এবং একটি ঘর নির্মানে সার্বিক সহযোগীতায় আশ্বাস দেন মরহুম মাও: আব্দুল ফাত্তাহ। সুলতানপুর ইউনিয়ন পরিষদের তৎকালীন চেয়ারম্যান জনাব আছদ্দর আরী ছই মিয়া সাহেবের সর্বাত্বক সহযোগীতায় সুলতানপুর ইউনিয়নের হলরুলে 01/02/1979 খ্রি. তারিখে গুটি কয়েক শিক্ষাথী নিয়ে পাঠদান কার্যক্রম আরম্ব হয়। প্রারম্ব প্রাধান শিক্ষ ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন অবসর প্রাপ্ত জেলা রেজিষ্টার ফেউয়া গ্রাম নিবাসী জনাব, মরহুম এম এ গণি।এ সময় অন্য যারা শিক্ষক দিলেন তারা সর্ব জনাব, সুলতানপুর নিবাসী মরহুম আব্দুর রহমান ও সৈয়দ আব্দুল মুছব্বির ,হাজারীচক নিবাসী জনাব আব্দুল খালিক, লালগ্রাম নিবাসী জনাব মো: মঈন উদ্দিন, সোবহান পুর নিবাসী জনাব আব্দুস ছালাম লস্কর। বিদ্যালয়ের বর্তমানে অবস্থানে ভূমি ক্রয় ও গৃহ নির্মানের পর শিক্ষাদান কার্যক্রম এখানে স্থানান্তরিক হয়। বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ কালিগঞ্জ বাজারের নিকটবর্তী মোহাম্মদপুর নিবাসী জনাব মরহুম কেরামত আলী 1979 সালে স্বল্প সময়ের জন্য এ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব গ্রহন করেন। তার দিক নির্দেশনা এ সময়ে বিদ্যালয়টি নিম্ব মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসেবে সরকারী স্বীকৃতি পায়। জনাব মরহুম কেরামত আলীর পর পাঠানচক নিবাসী বীর মক্তিযোদ্ধা মরহুম ফারুক আহমদ প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব নেন। তার অক্লান্ত পরিশ্রমে বিদ্যালয়টি হাটি হাটি পা পা করে অগ্রসর হতে থাকে। পরে রারই নিবাসী জনাব মরহুম আব্দুল মালিক তাপাদার প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব গ্রহন করেন। এবং বিদ্যালয়টি হাইস্কুল হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। প্রতিষ্টার স্বল্প সময় অতিক্রান্ত হলেই এ বিদ্যালয়টি উপজেলঅর মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্টানে রুপ লাভ করে ।
বর্তমান ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা
ষষ্ট শ্রেণী: ছাত্র:145 ছাত্রী: 178 মোট: 323 জন।
সপ্তম শ্রেণী: ছাত্র:124 ছাত্রী:163 মোট:287 জন।
অষ্টম শ্রেণী:ছাত্র: 126 ছাত্রী: 175 মোট: 301 জন।
নবম শ্রেণী: ছাত্র:91ছাত্রী 92 মোট: 183 জন।
দশম শ্রেণী: ছাত্র 60 ছাত্র 62 মোট 122 জন।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস