১৯৮৭ সালের ১৮ মার্চ শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার অনুমোদন পেলেও এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয় শুরু করে ১৯৯১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি। শিক্ষার মানের দিক থেকে এই উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি শুধু বাংলাদেশেই নয়, বাংলাদেশের বাইরে যথেষ্ট সুনাম কুড়িয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগার আধুনিক যে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের সমকক্ষ। তাছাড়া, প্রযুক্তির ব্যবহারে ফাইবার ক্যাবল স্থাপনের মধ্য দিয়ে নতুন যুগের উন্মোচন হয়েছে।
১৯৯১ সালের ১৪ ফেব্রম্নয়ারি একাডেমিক কার্যক্রম শুরুর সময়ে বিভাগ ছিল তিনটি: পদার্থবিদ্যা, রসায়নশাস্ত্র ও অর্থনীতি, শিক্ষক ছিলেন ১৩ জন এবং ছাত্রসংখ্যা ছিল ২০৫। বর্তমানে রয়েছে ৭টি অনুষদ, ২৬টি বিভাগ এবং ১টি ইনস্টিটিউট। বিশ্ববিদ্যালয়টির রয়েছে ৪টি অনুমোদিত (affiliated) মেডিকেল কলেজ এবং ১টি অনুমোদিত (affiliated) ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ যেখানে পড়াশোনা করে চার হাজারেরও অধিক ছাত্রছাত্রী।
উপমহাদেশীয় রাজনীতির কবলে পড়ে সিলেটকে কখনও আসামের সাথে, কখনও বা পূর্ববঙ্গের সাথে থাকতে হয়েছে। এ বিষয়টি অঞ্চলের শিক্ষা ক্ষেত্রেও প্রভাব ফেলেছিল। সাধারণ জনগণের মধ্যে লেখাপড়ার বিষয়টি উন্মুক্ত হয় ১৯৪৭ সালের পরে, বিশেষ করে ১৯৬০-এর পরে। স্বাধীনতার পর তা একটি পরিপক্কতা লাভ করে। সিভিল সার্ভিস থেকে শুরম্ন করে প্রতিরক্ষা, চিকিৎসা, রাজনীতি সকল ক্ষেত্রেই সিলেটের ছাত্রছাত্রী বা লোকজন বিশেষ ব্যুপত্তি অর্জন করেন। ধীরে ধীরে তা বিপরীত স্রোত ধরে তা আজ প্রায় শূন্যের কোঠায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠারও পূর্বে এমসিকলেজে সংস্কৃতসহ অনেক বিষয়ে অনার্স কোর্স চালু ছিল। ১৯৪৭ সালে উপমহাদেশ বিভক্ত হওয়ায় সিলেটের জন্য বরাদ্দকৃত বিশ্ববিদ্যালয়টি ১৯৪৮ সালে গৌহাটিতে স্থাপিত হয়। পরবর্তীতে কয়েক দশকের আন্দোলনের পর শেষ পর্যমত্ম গত শতাব্দীর আশির দশকের শেষভাগে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা লাভ করে। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গেজেট নোটিফিকেশন হয় ১৮ই মার্চ, ১৯৮৭ তারিখে। প্রকল্প পরিচালক নিযুক্ত হন প্রফেসর সদরম্নদ্দিন আহমদ চৌধুরী। তিনিই আবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯১ সালের ১৪ ফেব্রম্নয়ারি একাডেমিক কার্যক্রম শুরম্নর মাধ্যমে যে প্রতিষ্ঠানটি যাত্রা শুরম্ন করেছিল তা আজ দুই দশকের বেশি সময়ে চার শতাধিক শিক্ষক ও বার হাজারের বেশি ছাত্রছাত্রী নিয়ে এক মহীরম্নহে পরিণত হয়েছে। শিক্ষার মানের দিক থেকে এই উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি শুধু বাংলাদেশেই নয়, বাংলাদেশের বাইরে যথেষ্ট সুনাম কুড়িয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগার আধুনিক যে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের সমকক্ষ। তাছাড়া, প্রযুক্তির ব্যবহারে ফাইবার ক্যাবল স্থাপনের মধ্য দিয়ে নতুন যুগের উন্মোচন হয়েছে।
১৯৯১ সালের ১৪ ফেব্রম্নয়ারি একাডেমিক কার্যক্রম শুরম্নর সময়ে বিভাগ ছিল তিনটি: পদার্থবিদ্যা, রসায়নশাস্ত্র ও অর্থনীতি, শিক্ষক ছিলেন ১৩ জন এবং ছাত্রসংখ্যা ছিল ২০৫। বর্তমানে রয়েছে ৭টি অনুষদ, ২৬টি বিভাগ এবং ১টি ইনস্টিটিউট। বিশ্ববিদ্যালয়টির রয়েছে ৪টি অনুমোদিত (affiliated) মেডিকেল কলেজ এবং ১টি অনুমোদিত (affiliated) ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ যেখানে পড়াশোনা করে চার হাজারেরও অধিক ছাত্রছাত্রী। অনুমোদিত (affiliated) মেডিকেল কলেজগুলো হচ্ছে :
ক. সিলেট এমএজিওসমানী মেডিকেল কলেজ
খ. জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ
গ. সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ
ঘ. নর্থইস্ট মেডিকেল কলেজ
অনুমোদিত (affiliated)ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ হচ্ছে :
সিলেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ
অন্যান্য অনুমোদিত কলেজ :
ক. বেগম রাবেয়া খাতুন চৌধুরী নার্সিং কলেজ,সিলেট
খ. নর্থইস্টনার্সিং কলেজ, সিলেট
গ. সিলেট নার্সিং কলেজ
১ম সমাবর্তন অনুষ্ঠান
২৯ এপ্রিল ১৯৯৮ তারিখে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ম সমাবর্তন সুষ্ঠ ও সুন্দর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়। সমাবর্তনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শুরু থেকে ১৯৯৪-৯৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তিকৃত ছাত্র- ছাত্রীদেরকে স্নাতক সম্মান, স্নাতকোত্তর, এম.বি.বি.এস ও ডি.ভি.এম ডিগ্রির মূল সনদপত্র প্রদান করা হয়। এ সমাবর্তনের আওতাধীন স্নাতক সম্মান ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনকারী ছাত্র-ছাত্রীদের সংখ্যা ছিল মোট ১,১৫০ জন। বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের চ্যন্সেলর মহামান্য রাষ্ট্রপতি বিচারপতি শাহাব উদ্দিন ১ম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে ছাত্র- ছাত্রীদেরকে মূল সনদপত্র প্রদান করেন।
২য় সমাবর্তন অনুষ্ঠান
৬ ডিসেম্বর ২০০৭ তারিখে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২য় সমাবর্তন সুষ্ঠ ও সুন্দর পরিবেশে সম্পন্ন হয়। এই সমাবর্তনে ১৯৯৫-১৯৯৬ থেকে ১৯৯৮-১৯৯৯ শিক্ষাবর্ষের ভর্তিকৃত ছাত্র- ছাত্রীদেরকে স্নাতক সম্মান, স্নাতকোত্তর, এমবিবিএস, ডিভিএম, ডিপ্লোমা, এমফিল, এমএস এবং পিএইচডি ডিগ্রির মূল সনদপত্র এবং ১৯৯৯-২০০০ ও ২০০০-২০০১ শিক্ষাবর্ষে ভর্তিকৃত সকল ছাত্রছাত্রীর স্নাতক সম্মান ডিগ্রীর মূল সনদপত্র প্রদান করা হয়। এ সমাবর্তনে স্নাতক সম্মান ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনকারী ছাত্র-ছাত্রীদের সংখ্যা ছিল মোট ৬,৫৩৭ জন। বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের চ্যান্সেলর মহামান্য রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক ইয়াজউদ্দিন আহমেদ উক্ত সমাবর্তন সভায় উপস্থিত থেকে সনদপত্র বিতরণ করেন।
ছাত্রছাত্রীদের আবাসনের অনেক সুযোগ ইতোমধ্যে সৃষ্টি হয়েছে যদিও প্রয়োজনের তুলনায় তা কম। ছাত্রছাত্রীদের জন্য রয়েছে আবাসনের ব্যবস্থা।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ, অনুষদের অধীন বিভাগসমূহ ও ইনস্টিটিউট
1. School of Agriculture and Mineral Sciences
Department of Forestry and Environmental Science
2. School of Applied Sciences and Technology
Department of Architecture
Department of Chemical Engineering and Polymer Science
Department of Civil and Environmental Engineering
Department of Computer Science and Engineering
Department of Electrical and Electronics Engineering
Department of Food Engineering and Tea Technology
Department of Industrial and Production Engineering
Department of Petroleum & Geo-resources Engineering
Department of Petroleum and Mining Engineering
3. School of Life Sciences
Department of BioChemistry and Molecular Biology
Department of Genetic Engineering & Biotechnology
4. School of Management and Business Administration
Department of Business Administration
5. School of Physical Sciences
Department of Chemistry
Department of Geography & Environment
Department of Mathematics
Department of Physics
Department of Statistics
6. School of Social Sciences
Department of Anthropology
Department of Bangla
Department of Economics
Department of English
Department of Political Studies
Department of Public Administration
Department of Social work
Department of Sociology
7. School of Medical Sciencesএর আওতায় চারটি মেডিকেল কলেজ রয়েছে :
ক. সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ
ক. জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ
ক. নর্থ-ইস্ট মেডিকেল কলেজ
ক. সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস